ArabicBengaliEnglishHindi
scriptForHost

নাঙ্গলকোট থানার গেইটে নামধারী ধান্দাবাজ সাংবাদিকদের আস্তানা


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৫, ২০২২, ৬:৫০ অপরাহ্ন /
নাঙ্গলকোট থানার গেইটে নামধারী ধান্দাবাজ সাংবাদিকদের আস্তানা

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>

নাঙ্গলকোট থানা যেন ধান্দাবাজ নামধারী সাংবাদিকদের আতুড়ঘর, তাদের আক্রমণে সর্বশান্ত উপজেলার জনগণ।

নাঙ্গলকোটের মূল প্রেসক্লাবকে বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের অপরাধের আস্তানা খুলে বসে কিছু অসাধু চক্র ধান্দাবাজ সাংবাদিক তাও পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় থানার গেইটের সামনে। প্রেসক্লাবের নিয়ম শৃঙ্খলা অনুযায়ী কোন প্রকার অপরাধের সাথে জড়াতে না পেরে বেলাল হোসেন রিয়াজ, রেজাউল করিম রাজুসহ ৫/৭ জনের একটা অপরাধীচক্র আলাদা আস্তানা বাঁধে। সেই আস্তানাতে বসেই জনসাধারণকে হাতায়। যেহেতু সাধারণ জনগণ কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে সবাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় থানায় আসে, সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ঐ দালাল চক্রটি বিপদগামী ব্যক্তিদের কাছে যায়।

গিয়ে বিভিন্ন ভরসা মূলক আশ্বাস দিয়ে বলে- ওসি ও থানার সকল এসআই আমাদের লোক, আপনার জন্য কি করতে হবে? তাদের ফাঁদে পা দিলেও সমস্যা, নচেৎ- না দিলেও সমস্যা। তাদের সাথে সম্মতি পোষণ করলে থানায় তার পক্ষে সাপাই গাইবে, না দিলে- প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা গোলাটে করে দেয়। কোন আসামি আটক বা অভিযুক্ত হলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রপাদপা করিয়ে দেয়, যাহা অতীতেও বিভিন্ন নিউজে প্রকাশ পেয়েছে। কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করার লাইসেন্সও ঐচক্র দেয়, চাঁদাবাজির মাইক আটক করলে রাজু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে থানা থেকে মাইক চাড়িয়ে দেয়।

চক্রের সদস্যদের কাজ হচ্ছে ওসিকে সবার মাঝে হাইলাইটস করা।
নাঙ্গলকোট থানায় ওসি সৎ, দক্ষ। তার কথাগুলো মানুষের মাঝে বলে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত দুই ধান্দাবাজ নামধারী সাংবাদিক। যারা সব সময় মানুষকে বিভিন্ন দোকা দিয়ে টাকা ইনকাম করেন। এরা হলেন রেজাউল করিম রাজু।

 

গ্রামের বাড়ি উপজেলা মৌকরা ইউপির আলীয়ারা। যার কোন প্রষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। কোন মতে জোড়া তালি দিয়ে দু’বার মেট্রিক পরীক্ষা ও দু’বার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেন হেসাখান সুহৃদ বিজ্ঞান কারিগরি কজেল থেকে। অন্যজন বেলাল হোসেন রিয়াজ। গ্রামের বাড়ি হেসাখাল ইউপির পাটোয়ার। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা মাস্টার্স ডিগ্রী পাস করেছেন। যার কোন সাটিফিকেট নেই। এই ধান্দাবাজ সাংবাদিকরা প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা ওসি রুমে বসে গল্প গুজব করেন।

 

পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেন। আর বাহির থেকে কোন মানুষ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসলে বা ওসির সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সুকৌশলে তাদেরকে বলে বেড়ায়, আমাদের নাঙ্গলকোট থানায় এই প্রথম একজন মাত্র ওসি ফারুক হোসেন অনেক সৎ। ওনাকে পাওয়া আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার। এই বলে মানুষের কাছে আক্ষায়িত করেন। এমনকি পুলিশের ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন এ চক্রটি।

 

থানার প্রায় দরবার ওসিকে দিয়ে তারা ভাঙ্গেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে। এতেও ক্ষান্ত হননি তারা প্রতি রাতে ওসি ফারুক হোসেনের সরকারি গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়ে আসামিও ধরেন মাঝে মধ্যে। পাশাপাশি রাতে বাহির হওয়ার আগে রাজু ও রিয়াজ টার্গেটে রাখে ওসি ফারুক হোসেনকে নিয়ে কার বাড়িতে রাতের ভুরিভোজ করা যায়।

 

সে অনুযায়ী ওই মানুষ ফোন করে বলে ওসিকে নিয়ে আপনার বাড়িতে আসতেছি। উনি সৎ মানুষ, সামান্য সাদা বাত আর গরুর মাংসের আয়োজন করলেই চলবে। এটাই আমাদের ওসি পছন্দ করেন, এর বেশি কিছু না।

 

এই ধান্দাবাজ সাংবাদিকরা ওসিকে হাতে রেখে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। এসব ঘটনা যদি মিথ্যা হয় তাহলে থানায় সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ চেক করলে দেখা যাবে কে কে থানায় আসে আর কতক্ষণ ওসির রুমে বসে থাকার পর রাতে আসামি ধরতে বাহির হয়।

থানার সিসি ক্যামেরা পর্যোবেক্ষণ করলে তার সত্যতা মিলবে। যা দেখবেন আগামী সংখ্যার পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে। চক্রের সদস্যরা লোক বুঝে মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন উপহার সমগ্রী নিয়ে দেন ওসিকে।

এভাবেই মানুষ তাদের কাছে হয়রানির শিকার হয় প্রতিনিয়ত। নাঙ্গলকোট বাসী এথেকে পরিত্রাণ পেতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ ও সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।