ArabicBengaliEnglishHindi
scriptForHost

কক্সবাজার আদালতের ১৪৪ ধারা আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৭, ২০২২, ১২:৫৯ অপরাহ্ন / ১৫
কক্সবাজার আদালতের ১৪৪ ধারা আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

এম সরওয়ার কামাল খন্দকার ->>
কক্সবাজার রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চেইন্দা ছড়ারকুল এলাকায় কক্সবাজার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৪৪ ধারাকে অমান্য করে জমি দখলের নতুন সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে দক্ষিণ মিঠাছড়ির ইউনিয়নের ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার শাকিলা সুলতানা (৫০)। তার প্রধান ব্যবসা জমি দখল করে বিক্রি করা।

 

ইউনিয়ন পরিষদের থেকে অবৈধভাবে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিরীহ মানুষের জমি দখল করছেন তিনি। দখল করেই বিক্রি করে দিচ্ছে অন্যত্র।

 

এতে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষেরা। বিশেষ সূত্রে জানতে পারি যে,শাকিলা সুলতানা বাবা মরহুম ফরিদুল আলম আরএস মূলে ১৯৭৪ সালে রামু সাবরেজিষ্টি অফিসে গিয়ে শাকিলা সুলতানা বাবা মরহুম ফরিদুল আলম সকল জমি রেজিষ্ট্রীমূলে বিক্রি করে দেন শামসুল আলম গং কে ২০ শতংশ জমি যাহার দলিল নং ৯৬৯৩ , অপর দিকে মৌলভী নুরুল হুদা কে বিক্রি ১৫ শতংশ যাহার দলিল নং ৮৮০৮ ও ১৯৮৩ সালে ৪০৭৬ দলিলমূলে ১০ জমি বিক্রি করেন বলে জানা গেছে। ৫০ বছর ধরে ভোগ দখলে থাকা মাষ্টার শফিউল আলম (৬৫) এর জমিতে হঠাৎ করেই ঘর নির্মাণের পাঁয়তারা শুরু করে শাকিলা সুলতানা গংরা। এতে বাধা দিলে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে আসেন মাষ্টার শফিউল আলম কে।

 

মাষ্টার শফিউল আলম পিতার জমি দখল করে নিয়েছেন শাকিলা সুলতানা গংরা। ভূমিদস্যুদের দখল ঠেকাতে আদালতের আশ্রয় নিয়েও রেহাই পাচ্ছে না মাষ্টার শফিউল আলম । তিনি গত ২১ মার্চ ২২ ইং তারিখ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ককসবাজার প্রাপ্ত জমি চেয়ে মামলা করেন।যার মামলার এম.আর নং -৫৬০/২০২২ ইং ফৌঃ কাঃবিঃ ১৪৪ ধরা চলমান থাকা সত্বেও শাকিলা সুলতানা গংরা বার বার জমি দখল করে ঘর নির্মাণের চষ্টা করে। ঘর নির্মাণ ঠেকাতে নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার এ ১৪৪ ধারায় আবেদন করেন ৬৫ বয়সী এ বৃদ্ধা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার আবেদন মন্জুর করেন। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ককসবাজার রামু থানা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (রামু ভুমি অফিস)কে মেম্বার শাকিলা সুলতানার গংদের বিষয়টি জানিয়ে নালিশি সম্পত্তিতে কোনো স্থাপনা না করার নিষেধ করেন।

 

আদালতের আদেশকে অমান্য করে রাতের মধ্যে মেম্বার শাকিলা সুলতানার গংরা ঘর নির্মাণ করে। এর আগেও একই আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু মেম্বার শাকিলা সুলতানার ক্ষান্ত হননি। আদালতের আদেশ অমান্য করার বিষয়ে রামু থানার এএসআই মোঃ মাহমুদুল হাসান ঘটনা স্থলে পরির্দশনে গিয়ে স্থাপনার কাজ বন্ধ করে দেন।তিনি আরো বলেন, আদালতের আদেশ অমান্য করা অপরাধ। রামু থানার অফিসার্স ইনচার্জ এ ব্যাপারে বলেন, আদালতের আদেশটি পেয়েছি, পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তদন্ত অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। মামলার বাদী মাষ্টার শফিউল আলম বলেন, আদালতের আদেশকেও যদি তারা না মানে তাহলে সাধারণ মানুষ কার কাছে সাহায্য চাইবে। তাদের হাত থেকে জমি দখলমুক্ত চাই। এই ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি ) রিগ্যান চাকমা সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি দ্রুত সহকারে রির্পোট পেশ করবো ।