ArabicBengaliEnglishHindi
scriptForHost

আলোচিত নারী বাইক রাইডারের উপর জুলুম নির্যাতনের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ১:৪৩ অপরাহ্ন / ৪৫
আলোচিত নারী বাইক রাইডারের উপর জুলুম নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
বাংলাদেশের প্রথম নারী বাইক রাইটারের প্রতি যুবলীগের নেতা কর্মীদের নামে জুলুম নির্যাতন ও পল্লবী থানা পুলিশের বিতর্কিত ভুমিকার অভিযোগ করছেন শাহনাজ আক্তার পুতুল নামের নারী বাইক রাইটার।

স্কুটি হারিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নারী বাইকার শাহনাজ পুতুল সংসারের হাল ধরতে রাজধানীর মিরপুর ৭ নম্বরের বাসিন্দা। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে পাঠাও চালক হিসেবে রাইড শেয়ারিং শুরু করেন।

ঘটনাক্রমে বাইকার পুতুলির স্কুটি ছিনতাইয়ের পর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ফেসবুকে সরব হয়ে উঠেন নেটিজেনরা। পুলিশের তড়িৎ পদক্ষেপে এই নারী বাইকার তার ছিনতাই হওয়া বাইকটি ফেরৎ পান ২৪ ঘন্টার মধ্যেই।

ওই সময় বাইকটি উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকাও দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়। অন্যদিকে ভাইরাল নারী বাইকারের সংগ্রামী জীবনের গল্প অনেকের মনে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। প্রথম সারির কয়েকটি গণমাধ্যমে সংগ্রামী এ নারীকে নিয়ে লাইভ টক শো সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে।

সেই পুতুল স্কুটি হারিয়ে অসহায়ের মতো কাঁদছিল শেরে-বাংলা থানার সামনে। তৎকালীন ডিসি তেজগাঁও বিপ্লব কুমার সাহা শের – এ বাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ জিজি বিশ্বাস সহ পুরো ডিএমপি তোলপাড় করা পুতুল ১ দিনের ভিতর তার আয় রোজগারের একমাত্র অবলম্বন স্কুটি ফেরত পাওয়াতে পুলিশ ভেসে ছিল প্রশংসার জোয়ারে।

গত কয়েকদিন আগে পুতুলের মেয়েকে নিয়ে মীরপুর ৭ নাম্বার সেকশনের, ৫ নাম্বার রোডে তাদের পুরো পরিবারের উপর গান্ডু সিরাজের ( ওয়ারেন্ট) বাহিনি হামলায় ৭৬ বছরের বৃদ্ধা পুতুলের মাকে ও তার স্বামীর ঘাড়ের রগ কেটে ফেললেও পল্লবী থানায় মামলা না নেওয়ায় পুতুল কোর্টে মামলা করে ওয়ারেন্ট বের করে আসামী ধরিয়ে দেয়। ৪ জন আসামীকে এরেস্ট করেন পল্লবী থানা পুলিশ যা বাদীনির সামনে হয়েছিল বলে যানান তিনি।

কিন্তু বাদীনি কিছুক্ষন পরে ঘটনার বিবরন দেন পুলিশ কোন এক যুবলীগ নেতার অনুরোধে ২ জনকে ছেড়ে দেয় আর ২ জনকে চালান করে। ৭১ টিভিতে গান্ডু সিরাজ তা স্বীকারও করে, নিউজ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় গান্ডু সিরাজ, পিস্তল সোহেল এশিয়ান টিভির চাঙ্গে কাজ করে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে একটি নিউজ করায় এবং তা ফেসবুকে ভাইরাল করে। যা ডিজিটাল আইনে সুস্পষ্টভাবে বেআইনি বলে দাবী করেছেন ভুক্তভুগি।

যে মেয়ে বাংলাদেশের প্রথম রাইডার, অক্লান্ত পরিশ্রম করে সে কেনো তার মেয়েদের দিয়ে নোংরা কাজ করাবে এটা সামাজিক ভাবে কেউ মেনে নিতে পারছে না। সুসীল সমাজ ও নারী আন্দোলনের নেত্রীদেরকে এই অসহায় মেয়েটিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার জন্য পুতুল আকুল আবেদন জানিয়েছেন। পুতুল আশংখা প্রকাশ করে বলেছেন আমাকে এলাকায় পেলে হত্যা করবে, কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন তার মা এবং বোনের বাড়িতে এসে সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছেন তারা ।

তানা হলে রাস্তায় স্কুটিকে গাড়ি চাপা দিয়ে মারবে বলেও যানান তিনি নিরাপত্তাহীনতার জন্য পুতুলি এখন তার ২ মেয়েকে নিয়ে নিজ এলাকা মিরপুর ৭ নাম্বার সেকশন এলাকা ত্যাগ করে টঙ্গি বা আশপাশ এলাকায় বসবাস করছে! বলে যানান। (বাদী করছে ফেরারি জীবন যাপন আর ওয়ারেন্টের আসামী বসবাস করছে নিজ বাসায়,এটা মনে হচ্ছে হীরক রাজার গল্প কেও হার মানিয়েছে)।