ArabicBengaliEnglishHindi
scriptForHost

মাগুরায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে উল্টো নিজেই ফেঁসে গেলেন ড্রাইভার হৃদয় মাসুদ ওরফে কালাম


প্রকাশের সময় : জুন ৫, ২০২২, ৯:০১ অপরাহ্ন / ১৬
মাগুরায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে উল্টো নিজেই ফেঁসে গেলেন ড্রাইভার হৃদয় মাসুদ ওরফে কালাম

মাগুরা প্রতিনিধি ->>

জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষকের ঘরে মাদক রেখে ফাঁসাতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেলেন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের শত কোটি টাকার মালিক ড্রাইভার মোঃ হৃদয় মাসুদ ওরফে কালাম ও তার সহযোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের কলেজ পাড়ায়। এ ঘটনায় একটি মামলা করেছে মাগুরা ডিবি পুলিশ যার নম্বর ১/৪৪/২২।

মামলার বিবরণে জানা গেছে উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের কলেজ পাড়ার ও একই উপজেলার জি.কে আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আঃ আওয়ালের সঙ্গে প্রতিবেশী শহীদ ও তার পরিবারের অন্যদের সাথে বসত ভিটার জমা জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলে আসছে এবং মাগুরার বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে।

বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা স্বত্তেও শহীদের পরিবার আঃ আওয়ালের বসতভিটার জমি জবর দখল করে সেখানে মসজিদ নির্মাণের সাইনবোর্ড টানিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছপালা কেটে নেওয়াসহ ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় আঃ আওয়াল নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারার আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতে ঐ জমিতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে কোন প্রকার কাজ না করার জন্য আদেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জমির মালিক কলেজ শিক্ষক আঃ আওয়ালকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করতে থাকে শহীদের পরিবারের সকল সদস্য।

ড্রাইভার মোঃ হৃদয় মাসুদ ওরফে কালাম এ শহীদ পরিবারের প্রধান হিসেবে পরিশেষে কলেজ শিক্ষককে ফাঁসানোর জন্য ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার কাদিরদি গ্রামে সাগর, নবাব, ভগ্নিপতী নান্নু ও বিপ্লব এর মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে একই এলাকার দোয়েল, পিতা- মোতালেব ড্রাইভার এর নিকট থেকে ১৪৬ পিচ ইয়াবা এবং ২ গ্রাম হিরোইন ক্রয় করে শ্রীপুরে এসে কলেজ শিক্ষকের পরিবারের অনুপস্থিতিতে তার ঘরে রেখে মাগুরার দোয়ারপাড় নামক স্থানের মোঃ আতিয়ার রহমানকে দিয়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মাগুরা ডিবি পুলিশকে খবর দেয়। ডিবি পুলিশ তাৎক্ষণিক সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে মাদকসহ আঃ আওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি অফিসে নিয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে ও এলাকাবাসীর স্বাক্ষ্যমতে বিষয়টি ডিবি পুলিশের সন্দেহ হলে ঐ সময়েই ডিবি পুলিশ তথ্য প্রদানকারী মোঃ আতিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আতিয়ারের স্বীকারোক্তি মোতাবেক আঃ আওয়াল নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়। সেই সঙ্গে ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। তথ্য প্রদানকারীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ ঘটনায় জড়িত নবাব ও সাগর নামের ২ আসামীকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করতে স্বক্ষম হয়।

উক্ত নবাব ও সাগর মোঃ হৃদয় মাসুদ ওরফে কালামের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে পুলিশের নিকট ১৬১ ধারায় ও ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। শত কোটি টাকার মালিক মোঃ হৃদয় মাসুদ ওরফে কালাম নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের ড্রাইভার-ই এ ঘটনার মূল নায়ক বলে জবানবন্দীতে উল্লেখ করেছে। পুলিশ আসামীদের জবানবন্ধী অনুযায়ী ড্রাইভারসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অপরদিকে ডিবি পুলিশের মামলাটি মাগুরা বিজ্ঞ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে যার মিস কেস নম্বর ৩৫৫/৩৭৪/২২।

এ বিষয়ে মাগুরা জেলা ডিবির ওসি সুকদেব রায় বলেন আসামি ধরার জন্য জোর তৎপরতা চলছে।